তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন

শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে তুরস্কে। গত বুধবার (১৭ মার্চ- ২০২১) আনকারা বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপরে দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান বলেন, আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মবার্ষিকী।
তিনি বলেন, এই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো না, আমরা পেতাম না স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র। একটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতার জন্য অনেকেরই ভূমিকা থাকে তবে জাতির পিতা হন একজনই। তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তির দূত। বঙ্গবন্ধু শুধু ব্যক্তিসত্তা নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু হলেন সার্বজনীন। তার বিশাল হৃদয়জুড়ে ছিল মানুষের প্রতি মায়া, মমতা ও ভালোবাসা।
মসয়ূদ মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন, তাই আনন্দঘন এই দিনকে সরকার জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালন করছে। এই শুভ দিনে আমি সব শিশু-কিশোরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তিনি শিশুদেরকে চিত্রাঙ্কানসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরষ্কৃত করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন তার্কির (বিসিটি) পক্ষ থেকে এম্বাসেডর মসয়ূদ মান্নানকে স্বারক প্রদান করেন সংগঠনের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক ড. শাহেন শাহ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ দূতাবাস আনকারার উপ-প্রধান রইস হাসান সরওয়ার, সিনিয়র সিটিজেন ডা. বাবর উদ্দিনসহ দূতবাসের কর্মকর্তারা।
নব যুগান্তর /এসএম